বাংলাদেশ একটি উদীয়মান, প্রগতিশীল, গনতান্ত্রিক, মধ্যউন্নত রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত। রুপকল্প ২০২১’ - এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, আগামী এক দশকে দেশটিতে ক্ষুধা, বেকারত্ব, অশিক্ষা, বঞ্চনা, ও দারিদ্র থাকবে না; দেশে বিরাজ করবে শান্তি, সুখ, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধি। সেই লক্ষ্য অর্জনে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাই সরকার জনগনের মঙ্গল এবং জাতীয় জীবনের সবত্র উচ্চাদর্শ প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা বিধানে ২০১২ সালে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। উদ্যোগটি সরকারের একটি কার্যকরী ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের ফলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল অঙ্গনে স্বচ্ছতা ও প্রশাসন, জবাবদিহিতা প্রতিফলিত হওয়া সহ সর্বক্ষেত্রে যথাযথ আইনের প্রয়োগ, দুর্নীতি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবিক সম্পর্কের উন্নয়ন, সেবাগ্রহীতাগনের কাঙ্খিত সেবার নিশ্চয়তা বিধান ও অণ্যান্য সৃজনশীল কর্মকান্ডের প্রচার ও প্রসারে গতিশীল ভূমিকা রাখবে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইতিবাচক ভূমিকাই মূখ্য এবং তাদের দ্বয়িত্বও অপরিসীম। উল্লেখ্য, বন্দরের বন্দরের সেবাসমূহ যথাযথ আইন প্রয়োগ এর মাধ্যমে অধিকতর সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে অগ্রণী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তাদের উক্ত কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকাকে উত্তমচর্চা হিসেবে বিবেচনায় এনে তাদেরকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এর পক্ষ হতে শুদ্ধাচার পদক/ক্রেষ্ট/প্রশংসাপত্র প্রদানের উদ্দেশ্যে নীতিমালা প্রনয়ণের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও সর্বজন বিদিত একটি কাজ।